আবদুল্লাহ আল হৃদয়ঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার দুর্ভোগ লাগামের অপেক্ষমান প্রতীক্ষার আকাঙ্ক্ষিত চান্দুরা ইউনিয়নের ফুলতলী হইতে হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা বাজার পর্যন্ত রাস্তা মেরামত এর কাজ শতভাগ দুর্নীতি আর অনিয়মে প্রতিয়মান।
ফুলতলী হইতে বুল্লা বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা উপজেলার দুটি ইউনিয়নের সংযুক্তিস্থল। এই রাস্তাটিতে প্রায় প্রতিদিন লাখো মানুষের যাতায়াত। রাস্তার আশেপাশের গ্রামগুলির জনসাধারণ সিএনজি অটোরিক্সার ওপর নির্ভরশীল। এসব হালকা যানবাহন হিসেবে ধরা হয় বাংলাদেশে। আর এসব যানবাহন যখন কার্পেটিংয়ে চাকার আঁচড়ে উপচে পড়ছে। সামান্য ভারী যানবাহন চলাচল করা তো দুর্বিষহ।
সংযুক্তি ৪ কিলোমিটার রাস্তাটির চওড়া দুভাগে ৮ ফিট এবং ১০ ফিটের কথা থাকলেও বাস্তবে তা পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী কার্পেটিংয়ের থিকনেস ২৫ মিলি করলেও এমনই দুর্নীতি করেছে যাহা পায়ের ঘষাতেই কার্পেটিং উঠে যায়। কোন কোন জায়গায় দেখা যায় ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন ও মাটি মিশ্রনের উপর দায় সারানোর কাজ করেছে। কার্পেটিং করার আগ মুহূর্তে তরল ভিটমিন রাস্তায় ছিটানোর বদলে ভিন্নতর তরল দুদিন আগেই ছিটিয়ে রেখেছে। যাহা বৃষ্টিতে ধৌত হয়ে গেছে। কোন কোন জায়গায় দেখা যায় পায়ের ভরে জাম্পিং হচ্ছে। কার্পেটিং এর দ্বিতীয় দিনেই বুল্লা খেলার মাঠের সামনে প্রায় ১০ মিটার রাস্তা ডেবে গেছে।
রাস্তাটি মূল ঠিকাদার ২ কোটি ৩০ লক্ষ ২১ হাজার ৮শত ৫৫ টাকায় টেন্ডারে পেয়ে, হাত বদল লাভে, নুহাশ এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করিয়াছে বলে জানা যায়। এভাবে ঠিকাদাররা বিনা পরিশ্রমে হাত বদল করলে কাজের মান কেমন হবে কল্পনাতেই বুঝার অপেক্ষা রাখে না।
২০২৪ ডিসেম্বরে শুরু করে ২০২৫ মে মাসে সমাপ্তির কথা থাকলেও বাস্তবে সময় অতিবাহিত হয়েও রাস্তাটির এক তৃতীয়াংশ হয়েছে মাএ। যদিও ঠিকাদারের দাবি তিন মাস সময় বর্ধিত করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, এই রাস্তা যেভাবে করেছে, সেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ভাঙ্গা খানাখন্দ রাস্তায় দীর্ঘদিন যাবত কষ্ট করতেছি। এখন যদি ল্যাপ দিয়ে করে চলে যায়, আবার দুইদিন পরে আমরা আগের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সরকার আমাদেরকে প্রতি মাসে বরাদ্দ দিবে না রাস্তা ঠিক করার জন্য। কতটুকু রাস্তা কার্পেটিং করেছে পুরো রাস্তা আবার নতুন টিকসই ও মানসম্মত করে দিতে হবে। তারা আরো বলেন, একটি কাজ দুই তিনজন ঠিকাদারের কাছে বিক্রয় হয়। তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ কমিশন হাতিয়ে নেয় কাজ ধরার আগেই, পরবর্তীতে যিনি কাজ ধরে লোকসান বাঁচাতে গিয়ে এসব দুর্নীতি করে থাকে। আর এসব দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত প্রকৌশলীর গাফিলতিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার হাসান বলেন, রাস্তার কাজটি ভালো ভাবেই করছি কিছু একটা অংশ ভারী যানবাহন চলাচল ও বৃষ্টির কারণে কার্পেটিং উঠে গিয়েছিল। পুনরায় কাজটা করে দেওয়া জন্য গেলে কাজটি এলাকাবাসী করতে দেইনি। ইঞ্জিনিয়ার সাথে কথা বলে কাজটি করে দেয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখে আসছি, যত দ্রুত সম্ভব কাজ সমাপ্ত করা হবে। ভালো ভাবে রাস্তার কাজটি সমাপ্তি করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি সুন্দর নিউজ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
Leave a Reply