
অঞ্জনা চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টার- সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের পরানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। ওই শিক্ষকের নাম কামাল হোসেন। এই ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে স্কুলের পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় কাজিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। রবিবার দুপুর বারোটায় এই ঘটনা ঘটেছে।
পরানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ ও শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা চলছিলো। সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থির পুরো বছরের বেতন বকেয়া থাকায় ওই শিক্ষার্থিকে বিদ্যালয়ের পাওনা পরিশোধের কথা বলা হয়। ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার পিতা বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আমকে জানান। এসময় উত্তেজিত হয়ে জাহাঙ্গীর আলম কয়েকজন সঙ্গীসহ ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে সরাসরি শ্রেণি শিক্ষক কামাল হোসেনের উপর চড়াও হন। এসময় তাকে চড় থাপ্পড় দিয়ে এবং পরনের জামা টেনে ছিড়ে ফেলেন জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে জাহাঙ্গীর আলমের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করতে করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদা খাতুন কাজিপুর থানা পুলিশকে ফোন করেন। পরে কাজিপুর থানার এসআই আসাদুজ্জামান দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা কাজিপুর উপজেলা পরিষদে গিয়ে ইউএনও অফিসে যান। তিনি জেলা শহরে থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিদায় করেন।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষক কামাল হোসাইন বলেন, আমি ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের পাওনার বিষয়ে বুঝিয়ে বলেছিলাম। অথচ তার অভিভাবক এসে আমাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মারধোর করেছে। আমি এর বিচার চাই।
কাজিপুর থানার এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসি। আজকের পরীক্ষা না দিলেও তারা পরের পরীক্ষাগুলো দেবেন বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। আর ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।