আবদুল্লাহ আল হৃদয়ঃ-
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন বিন্যাসের প্রতিবাদে গত ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকায় চান্দুরা আমতলী বাজারে চান্দুরা ইউনিয়ন যুবদল এক বিশাল মশাল মিছিলের আয়োজন করে। আমতলী বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়। এতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, তাঁতীদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশগ্রহণ করেন।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন চান্দুরা ইউনিয়ন যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি সোহাগ খন্দকার, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান লিটন মুন্সি, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক এ এইচ এম গোলাম জহির, বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আক্তার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক নূর মোহাম্মদ আরফাত, চান্দুরা ইউনিয়নের আনন্দ গ্রামের সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদ কাওছার মিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের সংগ্রামী ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম আনন্দ, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মহরম আলী, হরষপুর ইউনিয়নের সালা উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি ছাবদুল খা, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি জহির খান, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি ওয়াসিম মোল্লা, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ ইউনুছ মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি ওসমান গনি রাজা, ইউনিয়ন যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক নোমান মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মালু মিয়া, চান্দুরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আবু তাহের মিয়া, চান্দুরা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ জাকির মিয়া, এবং চান্দুরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী মোঃ রিপন মিয়া, আব্দুল হান্নান, দ্বীন ইসলাম, আনোয়ার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে আসন বিন্যাসের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান লিটন মুন্সি বলেন, “এই আসন বিন্যাস জনগণের মতামতের প্রতিফলন নয়। এটি একটি প্রহসনমূলক বিন্যাস যা একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দিতে করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং যেকোনো মূল্যে এই অন্যায্য বিন্যাস বাতিল করার দাবি জানাই।”
উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক এ এইচ এম গোলাম জহির বলেন, “গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করে হচ্ছে। এই আসন বিন্যাস তারই অংশ। যুবদল রাজপথে থেকে এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করবে।”
প্রবাসী কাওছার মিয়া বলেন, “প্রবাসে থেকেও আমরা দেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। এই আসন বিন্যাস দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা প্রবাসীরাও এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার।”
মোঃ আক্তার মিয়া এবং নূর মোহাম্মদ আরাফাতও তাদের বক্তব্যে আসন বিন্যাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেন এবং আন্দোলনের মাধ্যমে এর পরিবর্তন আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
চান্দুরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী মোঃ রিপন মিয়া বলেন, “ছাত্রসমাজ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই।”
চান্দুরা ইউনিয়ন যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি সোহাগ খন্দকার তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই আসন বিন্যাস বাতিল না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো। জনগণের ম্যান্ডেটকে পদদলিত করে কোনো একতরফা নির্বাচন হতে দেবো না।”এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্রনেতা সাজ্জাদ খোকন , ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোঃ সাগর আহমেদ,
হষরপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ, মামুন মিয়া, এস কে সুমন, নাজমুল, আক্তার হোসেন,মোহাম্মদ শামীম ফকির।
এই মশাল মিছিলটি চান্দুরা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং আসন বিন্যাস নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তাপ সৃষ্টি করেছে।
Leave a Reply