
মোহাম্মদ এমরান হোসেন রিটন কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি:-
কুমিল্লার মেঘনা ও হোমনা উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ১৪ নভেম্বর রোজ শুক্রবার সকালে শুরু হওয়া এই জনসেবামূলক কর্মসূচিতে দুই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন।
মেঘনা উপজেলার ভাওয়োলখোলা ইউনিয়নের শিবনগর প্রাইমারি স্কুল মাঠে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পটি পরিচালিত হয়। চর নারায়নপুর, বৈদ্যনাথপুর, আলগি, বকশিকান্দাসহ আশপাশের গ্রাম থেকে সকাল থেকেই রোগীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আসতে থাকেন।
চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করে তারা বিভিন্ন রোগের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমপি প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মোল্লা, মেঘনা উপজেলা আমির লোকমান হোসেন ভুইয়া, আব্দুর রহমান, আব্দুল আজিজ, সগির আহমেদ, ওয়ালী উল্লাহ, মাজেনুল, বাসেদ মুন্সি ও জাকারিয়া বুলু মেম্বারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ইউনিট পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও স্বেচ্ছাসেবকরাও ক্যাম্প পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।হোমনা উপজেলাতেও একইদিনে জামায়াতে ইসলামী পরিচালিত পৃথক মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। অল্প সময়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে সেখানে উপস্থিত হন।
ক্যাম্প কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এবং হোমনা উপজেলা আমির মাওলানা সাইদুল রহমান।
স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, চিকিৎসা–সেবা বঞ্চিত মানুষের ভিড় সামলাতে পুরো সময়ই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। দুই উপজেলায় মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের সেবা তারা প্রথমবার পাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে আরও এমন আয়োজনের প্রত্যাশা করেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যন্ত এলাকায় মানসম্মত চিকিৎসাসেবা পাওয়া তাদের জন্য কঠিন। ফলে এ ধরনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প তাদের জন্য বড় সহায়তা হয়ে আসে। তারা আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নিয়মিত এ আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। জামায়াতে ইসলামী মেঘনা ও হোমনা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ জানান,
“মানবতার সেবায় এ উদ্যোগ ধারাবাহিকভাবে চালু থাকবে। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
দিনভর দুই উপজেলায় মেডিকেল ক্যাম্পকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মাঝে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ, যা জনসেবামূলক উদ্যোগটির ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন।