আবদুল্লাহ আল হৃদয়ঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নকে সরাইল-আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২) সংসদীয় আসনের সঙ্গে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে, বিকাল ৫টায় আমতলী বাজারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
সভায় বক্তারা এই সিদ্ধান্তকে বিজয়নগর উপজেলার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জমির হোসেন দস্তগীরের সভাপতিত্বে এবং ডাক্তার রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসেন বলেন, “বিজয়নগরের অখণ্ডতা নিয়ে أষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না।” উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন বলেন, “আমরা আইনিভাবে লড়াই করব এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা জাকির হোসেন শাহ আলম, হেলাল উদ্দিন, মানিক সরকার, বিআরডিবির চেয়ারম্যান এইচ এম জহিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান ছায়েদ খন্দকার, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ইছাপুরা ইউনিয়ন সভাপতি আমিন মেম্বার, পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ইসমাইল ও পারভেজ, চম্পকনগর ইউনিয়নের কাওছার, সিঙ্গারবিলের সাইদ খোকন, হরষপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বাবুল, উপজেলা যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম, চান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল মিয়া, হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, বুধন্তী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, আবদুল কাইয়ূম রাষ্টু, মোহাম্মদ আলী, মিজানুর রহমান এবং চান্দুরা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান, সোহাগ প্রমুখ।
বক্তারা সকলেই বিজয়নগর উপজেলার ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রতিবাদ সভায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জনমত তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
Leave a Reply