আব্দুল্লাহ আল হৃদয়ঃ-
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের কালিকা পুর গ্রামের জিলু মিয়াকে ২৫/০৫/২০২৫ ইং তারিখ রোজ রবিবার দিবাগত রাতে বিস্কুট কিনার কথা বলে একই বাড়ির জাহাঙ্গীর ঘর থেকে ডাকিয়া বাহির করিয়া জাহাঙ্গীর নামের সন্ত্রাসী কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে চলে যায়। এ সময় নিহত জিলনের স্বজনদের সুর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন,এসে দেখতে পায় জিলনের মৃত্যু দেহ পরে আছে। নিহত জিলু মিয়ার এক জন মুদি দোকানী সে নিজ বাড়িতে বসত ঘরের এক পাশে মুদি মালামাল বিক্রয় করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। একই বাড়ির জাহাঙ্গীর একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় জিলু মিয়া সাক্ষী করে জাহাঙ্গীর। মিথ্যা সাক্ষী না দেয়ায় জিলুকে খুন করেছে বলে জানান স্হানীয় লোকজন। আরও জানায় জিলু মিয়াকে খুন করার পর জাহাঙ্গীর তার শশুড় বাড়ির টয়লেটের মধ্যে দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে থাকে। স্হানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে খুনি জাহাঙ্গীরকে আটক করে মাধবপুর থানায় খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে এসে খুনি জাহাঙ্গীর কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আর নিহত জিলু মিয়াকে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পোস্ট মডেমের জন্য প্রেরণ করেন। জিলু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, উপস্থিত সকলের চোখে পানি। যেন এক হৃদয়বিদার অবস্থা। একজন পরষী জানায়, জিলু খুব গরীব মানুষ, তার ৭ মেয়ে ১ ছেলে। ২ টি মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়েছে, একটি মেয়ে বাক প্রতিবন্ধী, ১টি মেয়ে দশম শ্রেণিতে লেখা পড়া করছে, ছেলে রি ছোট বয়স ৮/১০ হবে,মাদ্রাসায় লেখা পড়া করছে। জিলুর এক মেয়ে বলেন আমরা কি ভাবে চলাফেরা করব, কে দেবে লেখাপড়া খরচ, জিলু মিয়ার ছেলে মেয়ে, বোন সহ আত্মীয় স্বজনদের কান্নায় যেন আকাশ বাতাস ভারী হতে চলছে। সকলেই হত্যাকারী খুনী জাহাঙ্গীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। উক্ত বিষয়ে মাধবপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ জানান, ২৬/০৫/২৫ইং তারিখ রাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকার দিকে ধর্মঘর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে মুদি ব্যবসায়ীকে বিস্কুট কেনার কথা বলে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় মাধবপুর থানা পুলিশ ও কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকটি টিম স্থানীয় জনগণের সহায়তায় খুব দ্রুত সময়ে মুদি ব্যবসায়ী মো: জিলু মিয়া (৬০) এর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রহস্য উদঘাটন সহ মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে । উক্ত ঘটনায় মাধবপুর থানায় ০১টি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার সহিত জড়িত ১।জাহাঙ্গীর আলম (৩০), পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী, সাং-কালিকাপুর , থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জকে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে । মূলত পূর্বের একটি মারামারির ঘটনায় আসা জাহাঙ্গীরের পক্ষে মুদি ব্যবসায়ী জিলু মিয়া সাক্ষী না দেওয়ার জেরে ক্ষোভ থেকেই হত্যাকান্ডটি সংগঠিত করা হয়েছে।
Leave a Reply