1. aparadhsangbad@aparadhsangbad.com : অপরাধ সংবাদ : অপরাধ সংবাদ
  2. info@www.aparadhsangbad.com : অপরাধ সংবাদ :
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নেত্রকোণা সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানঃ ৬৫ বোতল ভারতীয় মদসহ অটো ভ্যান গাড়ী আটক। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজিপুর উপজেলা বিএনপির আলোচনা সভা ও প্রতিবাদী মিছিল নেত্রকোণা কলমাকান্দা উপজেলায় পুকুরের পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু। নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে নেত্রকোণায় বিক্ষোভ জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোণা: কাজিপুরে কাজ শেষে ঠিকাদার জানলেন বরাদ্দের অর্থ ফেরত গেছে। এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়ে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা বিজয়নগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘অভিযান’-এর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিজয়নগরে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড় ফুটবল, যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন উভয় দল। নেত্রকোণা বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে পুশইন বিএসফের

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী’ অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরীর চির বিদায় ৷৷ 

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে
ডেক্স রিপোর্ট :-  শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন; তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যু হয় বলে তার সাবেক একান্ত সচিব মো. শাহজালাল জানান৷

মতিয়া চৌধুরী যখন সংসদ উপনেতা ছিলেন, তখন তার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সরকারি কর্মকর্তা শাহজালাল। মতিয়া চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তার।শাহজালাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মতিয়া চৌধুরী সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। বুধবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে তাকে সংসদ উপনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে মতিয়া চৌধুরীর জন্ম। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। ১৯৬৪ সালে সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে মতিয়ার বিয়ে হয়।ইডেন কলেজে পড়ার সময় বাম ধারার ছাত্র রাজনীতিতে জড়ান মতিয়া চৌধুরী। ১৯৬১-৬২ মেয়াদে তিনি ছিলেন ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের ভিপি। ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হন।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফার আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা ছিল মতিয়া চৌধুরীর। আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্নিঝরা বক্তৃতার জন্য তাকে বলা হত ‘অগ্নিকন্যা’।১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন মতিয়া। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনী গঠনে তিনি একজন সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।

১৯৭৯ সালে ন্যাপ ছেড়ে মতিয়া যোগ দেন আওয়ামী লীগে। ১৯৮৬ সালে দলের কৃষিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এক সময় তাকে দলের নীতি নির্ধারণী পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে মতিয়া চৌধুরীকে। জেলজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘দেয়াল দিয়ে ঘেরা’ নামে একটি বই লিখেছেন তিনি।

রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাছে সারাজীবনই সাধারণ বেশভূষা আর সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য পরিচিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী।

সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট