আবদুল্লাহ আল হৃদয়ঃ-
দীর্ঘদিনে ও শেষ হয়নি, ৬৭ লক্ষ টাকার সরকারি অনুমোদনে, ৬০২ মিটার দৈর্ঘ্যে জনকল্যাণের ড্রেন এখন জন ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। ভেঙ্গেছে শিশু সহ নারী পুরুষের হাত পা। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারের ড্রেনের কাজ। আর এস কনস্ট্রাকশন নামক ঠিকাদার এ কাজটি শুরু করেন অক্টোবর ২০২৪ইং সনে। শুরুতেই ধীরগতি কাজে অতিষ্ঠ করে তুলেছে জনসাধারণকে। এরই মধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তবু কোন প্রভাব পড়েনি নিম্নমানের কাজের অগ্রগতিতে। চান্দুরা টু আখাউড়া রাস্তায় আমতলী বাজার, সকাল বিকাল সময় থাকে জনসাধারনেভীর।এমন যানবহুল ও জনবহুল আমতলী বাজারে অর্ধভাঙ্গা ড্রেনের কারনে প্রতিনিয়তই লেগে থাকে যানজট, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ছোট বড় যানবাহন। এমন অবহেলিত কাজের জন্য ভর্তুকি দিতে হচ্ছে মানুষের বাজারের ব্যবসায়ীদের।
একজন পথচারী অভিযোগ করে বলেন, আগেই ভালো ছিল। আজ সকালে আমি ড্রেনে পড়ে গিয়ে ময়লা আবর্জনায় ভরাট হওয়া ড্রেনের গর্তে আমার পা পড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা। একই সুরে আরোও কয়েকজন পথচারী অভিযোগ করে বলেন , এই ড্রেনের কাজ শুরু পর থেকে এভাবে অনেক পথচারী ব্যথা পেয়েছে। কিন্তু তবুও সংস্লিষ্ট দপ্তরের কোন টনক নড়েনি।
ব্যবসায়ীরা আরোও জানান, ঠিকাদারের লোকজন কাজ করতে এসে আমাদের কাছে টাকা চাইছে। যারা টাকা দিয়েছে তাদের দোকানের সামনে ড্রেনের ঢাকনা বসিয়েছে। আর যারা টাকা দেয়নি তাদের দোকানের সামনে ঢাকনা বসানো হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আমান মিয়ার সাথে জানতে চাইলে পরে কথা বলবে বলে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী, মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ভূঁইয়া কাজের ধীরগতির স্বীকারোক্তিতে বলেন, ঠিকাদার মৌখিক কথা কর্ণপাত না করায়, চিঠি দিয়ে তাগাদা দিয়েছি। এমনকি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছেও বিষয়টা অবগত করেছি। আবারো আগামী সপ্তাহে আমার অফিসে ডাকানো হবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, বিষয়টি আমি জানিনা, তবে খোজ খবর নিয়ে কাজটি দ্রুত করার চেষ্টা করব।
Leave a Reply