
জেলা প্রতিনিধি (দ্বীপক চন্দ্র সরকার), নেত্রকোণা:
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় মৃত বাবার সম্পত্তির ভাগ ভাটোয়ারের জেরে জোর মূলে গার্মেন্টস কর্মী বোনের বসত ঘরের তালা ভেঙে দখল করে নিলো সৎ ভাই রুহুল আমিন (২৭)।
সূত্রে প্রকাশ নেত্রকোণা কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে, প্রায় এক মাস আগে মৃত শেখ সাদীর বাড়িতে ।
জানা যায়, মৃত শেখ সাদী তাঁর অসুস্থ ও জীবনের শেষ সময়ে সেবাশুশ্রূষায় মুগ্ধ হয়ে নিজ বসত ঘর ও জায়গা লিখে দেন মেয়ে শামসুন্নাহার (২২) কে । ছেলে রুহুল আমিন ছিলো বখাটে ও উশৃংখল প্রকৃতির । ফলে বাবার (শেখ সাদী) মৃত্যুর পর রুহুল আমিন শক্তির জোরে ও বেআইনিভাবে দখলের সুযোগ খুৃঁজতে থাকে । এ দিকে, ঘরে তালা লাগিয়ে পিতা মাতাহীন শামসুন্নাহার তাঁর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে জীবিকার তাগিদে গার্মেন্টসে চাকরি নেন । এই সুযোগে গত এক মাস আগে ঘরের তালা ভেঙে ঘরের জিনিসপত্রসহ সবকিছু দখলে নেয় রুহুল আমিন ।
সরেজমিনে, স্থানীয় ইউপি সদস্য (সাবেক) ইসলাম উদ্দিন (৬০), আব্দুল আজিজ (৯০), এমদাদ মিয়া (২৬), শামীম (৪০) সহ এলাকার অনেকের সাথে কথা হলে এর সত্যতাও মিলে ।
ভুক্তভোগী শামসুন্নাহার বলেন, আমার বাবার দেয়া ঘর ও জায়গা জমি সৎ ভাই দখল করে নিয়েছে । আমি বাড়িতে আসার সাহস পাচ্ছি না । আমার কেউ নেই । আমি এলাকাবাসী ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি ।
অভিযুক্ত রুহুল আমিন বলেন, বাবাকে ভুলিয়ে বালিয়ে ঘর সম্পত্তি লেখিয়ে নিয়েছে আমার সৎ বোন । এখানে আমারও অধিকার আছে । আমি এই ঘর সম্পত্তি ছাড়বো না ।
গন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম আকন্দ কল্যান মুঠোফোনে জানান, ঘর সম্পত্তি শামসুন্নাহারের হলেও ভাই বোন বলে কথা-তাই আমরা এলাকাবাসী দরবার শালিসির মাধ্যমে রুহুল আমিনকে অন্য একটি ঘরে থাকতে দিয়েছিলাম । কিন্তু শামসুন্নাহারের ঘরের তালা ভেঙে ঘর দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই । তিনি আরো বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি, কিছু করা যায় কিনা ।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর মুঠোফোনে জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।