আবদুল্লাহ আল হৃদয়ঃ-
৩০ জুলাই ২০২৫: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ছিনতাইকারীদের নৃশংস হামলায় মোস্তফা কামাল (৫৫) নামে এক মুদি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা কামাল ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক বিডিআর সদস্য মৃত আব্দুল মমিনের ছেলে। তিনি কালিকচ্ছ বর্ডার বাজারে মুদি ব্যবসার পাশাপাশি একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতেও কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার বিবরণ:স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মোস্তফা কামাল প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। নন্দীপাড়া সড়কের কাছে ওঁৎ পেতে থাকা ৪-৫ জনের একটি ছিনতাইকারী দল তার পথরোধ করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোস্তফা কামালের মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে তার সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
পরে পথচারীরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক না থাকায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার ও এলাকাবাসীর ক্ষোভ:নিহতের স্বজনরা জানান, মোস্তফা কামাল এর আগেও একাধিকবার ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন এবং এ নিয়ে তাদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। তার ছেলে মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, “আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।” এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা এলাকায় মাদকের বিস্তার ও ক্রমবর্ধমান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশের বক্তব্য:খবর পেয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি মোরশেদুল আলম জানান, “কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।” বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে তিনি জানান।
Leave a Reply