নিজস্ব রিপোর্ট :- দেশের সাধারণ জনগণের কাছাকাছি সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করে যাচ্ছেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সরকারি সকল সিদ্ধান্তের সঠিক বাস্তবায়নসহ জনগণের  প্রকৃত সেবায় নিয়োজিত  এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দায়িত্বের বাইরে গিয়েও অনেক সময় যখন কোনো কোনো সরকারি কর্মকর্তা সাধারণ জনগণকে ভালো রাখার জন্য দিন রাত কাজ করেন ‘ আর তাঁদের কাজের ধারাবাহিক গতি যখন অস্বাভাবিকভাবে ভালো হয় তখন তাঁরা সাধারণ জনগণসহ আপামর জনতার শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত হন। এমনই একজন কুমিল্লার বরুড়া  উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং ৷  তিনি  বরুড়া উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই নিজ কর্মগুণে তিনি জয় করেছেন বরুড়া উপজেলাবাসীর  মন।

তিনি উপজেলার উন্নয়নে অসংখ্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার কাছে আসা সব সেবা প্রার্থীকে তিনি হাসিমুখে কাঙ্খিত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে সম্পূর্ণরূপে দালালমুক্ত হয়ে সরকারি সেবা পেতে পারে সেই উদ্যোগ নিয়েছেন। উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। বরুড়া  উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
তিনি বরুড়া উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সরকারি খাস জমি উদ্ধার, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন, অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, সাধারণ মানুষের সরকারি সেবা নিশ্চিত করাসহ সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করে ইতিমধ্যে তিনি উপজেলায় একজন মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, যোগদানের পর তিনি উপজেলার খাস জমি উদ্ধারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেন।  তিনি ইতিমধ্যে  অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন বাজারে  খাস জমি উদ্ধার করেন। এছাড়া ইতিমধ্যে তিনি ভিপি লিজের (সরকারি পাওনা) হাজার হাজার টাকা আদায় করেন। নু এমং মারমা মং  বরুড়ায়  যোগদানের পর উপজেলার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি কাজে উপজেলার বিভিন্নপ্রান্তে উপস্থিতির পাশাপাশি তিনি‌ প্রায়ই বিভিন্ন সরকারিপ্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ পরিদর্শন করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে শিক্ষকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে করণীয় নির্ধারণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝড়েপড়া রোধে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন।
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে সেই লক্ষ্যে উপজেলায় প্রথমবারের মতো সম্পুর্ন নকল মুক্ত পরিবেশে এসএসসি  ও এইচ এস সি পরীক্ষা সমাপ্ত করে ব্যপক প্রসংশিত হয়েছেন৷  তিনি  বরুড়া উপজেলায় যোগদানের পর ২০২৪ সালের ভয়াবহ  বন্যায় যখন   উপজেলার এক তৃতীয়াংশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি বন্যার্ত মানুষের জন্য কাজ করেছেন দিনরাত। শুকনো ও রান্না করা খাবার নিয়ে রাতদিন ছুটেছেন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে। বন্যার্ত মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে তিনি গঠন করেছিলেন বেশ কয়েকটি মেডিকেল টিম। মেডিকেল টিম গঠন করে তিনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন ।‌
অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না‌ পারে এজন্য তিনি নিয়মিত জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত কয়েকমাসে তিনি বেশ কয়েক  টি মামলায় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন।
গতমাসে বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা ইউনিয়নে পেড্ডা গ্রামে  ৩ বাড়িতে আগুন লেগে ৬/৭ ঘর সম্পুর্ন  পুড়ে যাওয়ার খবর  পাওয়ার  সাথে সাথে তিনি সেখানে ছুটে যান তিনি  সেখানকার ক্ষতিগ্রস্হ মানুষ কে  নগদ অর্থ  শুকনো খাবার ‘ কম্বলসহ বিভিন্ন  উপহার  সামগ্রী  বিতরন করেন৷ সে সময় ক্ষতিগ্রস্হ মানুষ  এ প্রতিবেদক জানান ‘ আমাদের উপজেলার ইতিহাসে এমন জনবান্ধব ইউএনও আমরা আগে দেখিনি। তিনি অল্প কয়েকদিনে যেভাবে সকলের ভালোবাসা পেয়েছেন, তাঁর মতো এমন ভালো লোকের কারণেই এই দেশ একদিন উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাবে। তিনি উপজেলার সকল মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। ‌
এমন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পেয়ে সত্যিই আমরা গর্বিত।
বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং  উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। নির্ভীকভাবে ছুটে চলেছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। ‌ প্রতিদিন হাসিমুখে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দর্শনার্থীদের। এমন জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পেয়ে সত্যিই আমরা খুবই আনন্দিত।
এ ছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায় ‘ সরকারের মাঠ প্রশাসনের একজন  কর্মকর্তা এবং মানবসেবক হিসেবে বরুড়া  উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অসাধারণ একজন মানুষ। সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে তিনি সঠিক ভাবে পালন করে যাচ্ছেন। জুলাই – আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি কঠিন সময়ে  তিনি অত্যন্ত সুন্দর ও সফলভাবে তাঁর পেশাদারিত্ব ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে সবকিছু ম্যানেজ করেছেন।‌ নিজ কর্ম গুণে তিনি মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তার আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় উপজেলার আপামর জনসাধারণ মুগ্ধ। সবচেয়ে  বড়কথা যেকোন অসহায় ও দুস্থদের খবর পেলে তিনি ‘ বাড়ি গিয়ে সরজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেন।   সর্বপরি তিনি একজন মানবিক মানুষ হিসাবে  পরিচিত লাভ করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং   বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সব সময় চেষ্টা করি মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের। জেনে বুঝে কখনো আমার দায়িত্বে অবহেলা করিনি। তিনি আরও বলেন, এই উপজেলার মানুষ খুবই আন্তরিক। ‌ যেকোনো প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা পাওয়া যায়। ‌যতদিন বরুড়া  উপজেলায় আছি মানুষের জীবনযাত্রাসহ উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাব। তিনি দায়িত্ব পালনে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চান তিনি।