1. aparadhsangbad@aparadhsangbad.com : অপরাধ সংবাদ : অপরাধ সংবাদ
  2. info@www.aparadhsangbad.com : অপরাধ সংবাদ :
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর মোহাম্মদপুর আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

আব্দুল্লাহ আল হৃদয়:-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চর ইসলামপুর সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের আলমগীর হোসেনের অর্থ আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে মানববন্ধনের করেছে এলাকার জনসাধারণ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে উক্ত মানববন্ধন হয়। এতে এলাকাবসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন তাদের হাতে প্লে কার্ডে প্রিন্সিপালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে নানান মন্তব্য লিখে রাখেন।
উক্ত মানববন্ধনে এলাকার বিশিষ্টজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের ইবতেদায় শিক্ষক আব্দুর রহমান , কৃষি শিক্ষক নূরে আলম, আক্তার হোসেন সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দু এবং সোহাগ মিয়া, সর্দার আলী আহমদ, বর্তমান ওয়ার্ড মেম্বার হাজী আবুল কালাম, সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ মাসুক, সাইদুল ইসলাম, মহসিন পারভেজ প্রমুখ।
বক্তাগন মানববন্ধনের বলেন, সনাম ধন্য এ আলিম মাদ্রাসার বিগত দিনের রেজাল্ট খুব ভাল ছিল । কিন্তু উক্ত মাদ্রাসায় আলমগীর হোসেন যোগদানের পর থেকে মাদ্রাসায় দুর্নীতির মহোৎসব শুরু হয়। এর রেজাল্ট দিন দিন খারাপ হতে শুরু করে এ নিয়ে কেউ কথা বললেই তাকে সে বিভিন্নভাবে হয়নি করার চেষ্টা করে। বর্তমানে স্কুলের রেজাল্ট শূন্যের কোটায়।
অর্থ কেলেঙ্কারিতে সে সিদ্ধ হস্ত বলে বক্তাগন অভিযোগ করেন ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ২০২৩ সালের জুলাই মাসে উপজেলার “মোহাম্মদপুর সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসায় সরকারের ৫,০০,০০০/-টাকা বরাদ্দ আসে। সরকারী অনুদানের উপকার ভোগী ছাত্ররা জানায় বরাদ্দকৃত টাকা সঠিক বন্টন করা হয় নাই। এছাড়াও মাদ্রাসার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ২টি খুটির ১,৫০,০০০/-টাকা রেজুলেশন করে মাদ্রাসার ফান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করে, কিন্তু ১টি খুটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তিতে নাম দেওয়ার জন্য প্রতি ছাত্র-ছাত্রীর নিকট হইতে ২০০/-টাকা নেওয়া হয়। শিক্ষকদের টিউশন ফি ১,০০,০০০/-টাকা হইতে ৭৫,০০০/-টাকা প্রদান করা হয়। দাখিল পরিক্ষার্থীদের ফরম ফিলআপ বাবাদ ৩,২০০/-টাকা, প্রবেশপত্র বাবাদ ৭০০/-টাকা ও রেজিস্ট্রেশন বাবাদ ১৬,০০/-টাকা গ্রহণ করেন।
২০২১ সালে কমিটির মাধ্যমে কর্মচারী নিয়োগের ব্যয় দেখান প্রায় ১ লক্ষ টাকা, নিয়োগ প্রাপ্তির পরে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরের কাছ থেকে ৫০ হাজার এবং আয়ার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। এরূপ আরো অনেক দুর্নীতি। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গ্রামবাসী, এলাকার সচেতন নাগরিক ওয়াসিম এবং শিক্ষক প্রতিনিধি, ৩ টি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত মানববন্ধনে ছাত্রীদের অভিযোগ মাদ্রাসার তিনি ছাত্রীদেরকে অশালীন শালী সম্বোধন করে আচরণ করেন এবং মেয়েদের পর্দা খুলতে তিনি বাধ্য করেন, তারা এমন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন, মানববন্ধন শেষে সকলে এক বাক্যে প্রিন্সিপাল অপসারণ দাবিতে মিছিল করেন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল মো. জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে সততা স্বীকার করেন, এ বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি সম্বন্ধে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট