লিটন মজুমদার (রিপোর্টার)- কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের ফেনুয়া ওরফে ফেলুয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। বিজ্ঞ কুমিল্লার বরুড়া সহকারী জজ আদালতে চলমান মোকদ্দমার আরজি সূত্র মোতাবেক জানা যায়, ফেনুয়া গ্রামের দাস বাড়ির মৃত হরিশ চন্দ্র দাস এর ছেলে রতন কান্তি দাস শীল বাড়ির টুটন চন্দ্র শীল সহ ১৫ জনকে বিবাদী করে দেওয়ানী বন্টন মোকদ্দমা দায়ের করেন। পাশাপাশি মৃত ধীরেন্দ্র চন্দ্র শীল এর ছেলে টুটন চন্দ্র শীল বাদী হয়ে এজমালি বিত্ত¡ বন্টন একই দেওয়ানী আদালতে নিজ ভাই বিশ^দেব শীল সহ ১৮ জনকে বিবাদী করে মোকদ্দমা দায়ের করেন। যাহা বর্তমানে চলমান আছে। দীর্ঘ ৪ বছর পর বাদী রতন কান্তি দাস দেওয়ানী বন্টন ২২৩/২০২১ ইং ডিক্রী জারী মোকদ্দমা ০৪/২০২৩ ইং। উচ্ছেদ পরিচালনার জন্য বিজ্ঞ আদালত গত ০৫ মে ২৪ ইং তারিখে মামলার ডিক্রীদ্বারের ১-১১ নং মূল বিবাদী এবং ১২-১৫ নং মোকাবেলা বিবাদী দায়ীকের তফসিলোক্ত সম্পত্তি বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের সহায়তায় গত ২৯ এপ্রিল ২৪ ইং তারিখে ডিক্রী দার পক্ষকে ছাহাম প্রাপ্ত নালিশী ভ‚মিতে সকল বাধা বিঘœ অপসারন করে দখল প্রদান করার আদেশ প্রদান করেন এবং ০৬ মে ২৪ ইং তারিখে দখলী পরোয়ানা প্রতিবেদন আকারে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন সহকারী জজ আদালত বরুড়া, কুমিল্লা। এক পর্যায়ে দেওয়ানী বন্টন ২২৩/২০২১ ইং মোকদ্দমার ১২-১৫ নং মোকাবেলা বিবাদী আদালতে উচ্ছেদ অভিযান আদালতে স্থগিতাদেশের দরখাস্ত দাখিল করিলে বিজ্ঞ আদালত প্রাথমিক পর্যায়ে ০৫ মে ২৪ ইং শুনানিকালে ১৯ মে ২৪ ইং পর্যন্ত স্থগিতাদেশ প্রদান করেন একই তারিখে শুনানিকালে আদালত ০৪ জুন ২৪ ইং পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। ১২-১৫ নং ভুক্তভোগী মোকাবেলা বিবাদী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানান এবং তাহারা বলেন, আদালত সবার জন্য সমান। আমরা আদালতের ন্যায় বিচারকে সম্মান করি। তবে বাদী রতন কান্তি দাস তরিঘরি করে একতরফাভাবে আমাদের অগোচরে বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য কুপরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে আসছেন। পাশাপাশি ১২ নং বিবাদী টুটন চন্দ্র শীল বলেন, আমাদের বশত বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনে সিট নকশায় ভুল হওয়ার কারণে আমি বিজ্ঞ আদালতে তাহাদের বিরুদ্ধে একটি নকশা সংশোধনী চেয়ে মামলা দাখিল করিয়াছি বর্তমানে মোকাদ্দমাটি বিচারাধীন। আমরা এর সঠিক ন্যায় বিচার আদালতে প্রার্থনা করে এসেছি। ১৫ নং বিবাদী অর্জুন চন্দ্র শীল বলেন, আমি একজন শিক্ষক পাশাপাশি যেহেতু বশত বাড়ির সীমানা সীমান্ত নিয়ে বিরোধ বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের দাখিলকৃত দলিল ও খতিয়ান পরিক্ষা নিরিক্ষা করে রায় প্রদান করবেন। আমি আইনকে সম্মান করি তাই কোন ঝামেলাতে জড়াই না। কিন্তু, কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার বাড়িঘর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় আমি হতবাক, ক্ষতিগ্রস্ত এবং মর্মাহত। যেহেতু, আদালতের বিচার্য বিষয়, আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি ন্যায় বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
Leave a Reply